বিশেষ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ জেলার সাবেক ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ অপু গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন- আমরা নিঃসন্দেহে বিশ্বব্যাপী একটা সংকটময় সময় অতিক্রম করছি। কোভিড-১৯ নোভেল করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় দিশেহারা আজ গোটা বিশ্ব।
প্রতিটি মুহুর্ত মৃত্যুভয় তাড়া করে ফিরছে আমাদের। বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্র গুলোতে লাশের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে।
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও রয়েছে করোনা উচ্চ ঝুঁকিতে।
তবে আমি মনে করি করোনাভাইরাস এক অভিমানী মানব আত্মীয়! সে উপযাচক হয়ে কারো নিকট যায়না, তাকে আমন্ত্রণ জানালে সে সিনবাদের দৈত্যের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে বাসা গেড়ে বসে এবং সব রকমের সর্বনাশের চেষ্টা চালায়।
তাই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে আপনার আমাদের ভূমিকাই আসল।
আমরা যদি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলি আশা করা যায় ইনশাআল্লাহ বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস কিছুই করতে পারবেনা।
সরকার নানান রকম উদ্যোগ নিয়ে দেশ ও জনগণের পাশে আছে, কোনো রকম গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে সরকার ও চিকিৎসকের বিধিনিষেধ মেনে চলুন। তুখোড় ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ অপু আরো বলেন করোনা ভাইরাস এড়াতে সরকার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে সরকারি বেসরকারি অফিস, দোকান পাট বন্ধ করে, জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এতে কর্মহীন মানুষের অনেকের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছেন।
বিপুল সংখ্যক কর্মহীন মানুষের খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, এনজিও এবং বিত্তশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সমূহকে সহযোগিতার হাত অনতি বিলম্বে প্রসারিত করতে হবে।
ব্যাপক কর্মহীন মানুষের এই মূহুর্তে স্বাস্থ্য বিধি পালন করার সাথে সাথে খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।
এছাড়াও তিনি বলেন আসুন- মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপা প্রার্থনার সাথে সাথে নিজেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাবধানতা অবলম্বন করি।
আমরা এখন জানি, কিভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কিভাবে নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখা যাবে এই ভাইরাস থেকে।
* আমি শুধু অনুরোধ করতে চাই –
* আমরা যেকোনো তথ্যই পাই না কেনো- তা আমরা নিজেরা ভালোভাবে নিশ্চিত হয়ে তবেই যেনো সে তথ্য অন্যদের মাঝে শেয়ার করি।
* কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা অনুভব করলে সরাসরি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা সরকার নির্ধারিত স্থানে যোগাযোগ করি কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করে।
* অহেতুক আতংকিত না হই এবং অন্যদের ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে অতংকিত করে না তুলি।
* যতটুকু সম্ভব বাহিরে যাওয়া থেকে বিরত থাকি।
* বিশেষ প্রয়োজন ব্যতিত কোন আত্নীয় স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধব এর বাসায় না যাই এবং নিজের বাসায় অন্যদের আসতে নিরুৎসাহিত করি।
নিজের অবস্থানে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করে সবাইকে সচেতন হতে সহায়তা করি।
“আতংক নয়, সচেতনতা বাড়াই”
যে যেখানেই থাকুক না কেনো, সবাই যেনো নিরাপদে থাকে, সুস্থ থাকে – মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।