কোরোনা ভাইরাস ও মানুষরূপি পশু
———————————————–
ভাবতে অবাক লাগে, শুধু যে অবাক হই তা নয়, বড্ড লজ্জা হয় এই ভেবে যে, আমরা সত্যিই মানুষ! না ভিন্ন প্রজাতির মানব আকৃতির পশু।পশুরা বিবেকহীন আমরা জানলেও তাদের অনেক কর্মকাণ্ড প্রমান করে যে তাদেরও বিবেক আছে, প্রভুভক্ত প্রাণীর অনেক ঘটনা আমাদের সমাজে ঘটে যা মানুষের বুদ্ধিকেও হার মানায় কোন কোন ক্ষেত্রে। অথচ আমাদের দেশের এক শ্রেণীর মানুষের কর্মকাণ্ড পশুদের ও হারমানায় তথা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। কোরোনা ভাইরাস এ সারা বিশ্ব আতঙ্কিত,শুধু আতঙ্কিত তা নয় মৃত্যু ভয়ের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে । সারা বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে । স্বাস্থ্য কর্মীরা জীবণ বাজি রেখে সেবা দিয়ে যাচ্ছে নিষ্ঠার সাথে বিরামহীন ভাবে, কেউ মারা গেলে পরিবারের লোকজন পর্যন্ত ভয়ে কাছে যাচ্ছে না, দাফন হচ্ছে কিন্তু জানাজা নামাজ পড়তেও কেউ যাচ্ছে না, এ যেনো এক কেয়ামতের দিন,যে প্রিয়জনদের মৃত্যুতে ও কেউ পাশে নেই। সবাই নিজেকে বাঁচাতেই ব্যস্ত। কতটা নির্মম আর বেদনা দায়ক হতে পারে এ মুহূর্ত গুলো। এমন এক বিপর্যয়ে আমরা মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিবেকহীনতার পরিচয় দিচ্ছি, আর এই অবস্থার সুযোগে এক শ্রেণীর মানুষরূপি পশু দ্রব্যমূল্যর দাম বাড়িয়ে মুনাফা করছে, তারা এতটাই বিবেকহীন হয়ে পড়েছে যে – যদি সে আজ মারা যায় তাহলে তার এই অর্জিত অর্থ কোথায় থাকবে, কে খাবে, আর এই পাপের জবাব আমাদের পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার কাছে কিভাবে দিবে? বিবেক লোপ পেতে পেতে পশুকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ ধরনের পশুগুলো যেকোন অজুহাতেই দ্রব্যমূল্যর দাম বৃদ্ধি করে থাকে। বৃষ্টি হয়েছে- দাম বৃদ্ধি, খরা হয়ছে দাম বৃদ্ধি, বন্যা তাও দাম বৃদ্ধি, রোজা আসছে দাম বৃদ্ধি, ঈদ, পূজা আর বড়দিন তাও দাম বৃদ্ধি।আর এদের সাথে তাল মিলাচ্ছে কিছু মিডিয়ার লোকজন ও স্বার্থবাদী নাম’কা উয়াস্তে বুদ্ধিজীবি, যতটা না তার থেকে হাজারগুন বড় করে প্রচার করে মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করে ,সে সকল বুদ্ধিজীবিরা যেমন সর্বভোগ তেমনই সর্ব বিষয়ে কু-জ্ঞান এর অধিকারী । এইসব পশুগুলোর মৃত্যুর আগেও জ্ঞান ফিরবে না। আর এই সকল পাপিষ্ঠদের কারনেই সৃষ্টিকর্তার গজব নাযিল হয়, আর তার খেসারত দিতে হয় মোমিন তথা ভালো মানুষ গুলোকে।যারা মানুষের বিপদ তথা অহায়তাকে পুঁজি করে মুনাফা করে, তাদের থেকে ঘৃণিত ,জঘন্য ও নিকৃষ্ট ব্যক্তি এ দুনিয়াতে আর একটিও নেই। তাই সরকারের উচিত হবে এই ধরনের নর পশুদের চিহ্নিত করে কোরোনা ভাইরাস- এ আক্রান্ত রোগীর পাশের বিছানায় রাখা, যাতে করে তাদের বিবেক ফিরে আসে। এছাড়া অন্যকোন শাস্তি দিয়ে তাদেরকে সঠিক পথে তথা সৃষ্টি কর্তার বিধান মতে ব্যবসা পরিচালনা করার সুবুদ্ধি আসবে না।সরকারের অনতিবিলম্বে ঘোষণা দেয়া উচিত-” যারা মূল্যবৃদ্ধির সাথে জড়িত থাকবে তাদের কেউ কোরোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত রোগীর সাথে থাকতে হবে, যতদিন না তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়”। এরা ভুলেই গেছে যে -তাদের কেও মরতে হবে একদিন, টাকার লোভে আজ তারা অন্ধ। আশাকরি নর পশুগুলো মানুষ হবে, মরণ তাদের নিকটে পৌছানোর আগেই।
(বি. দ্র: “চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী” তাই ব্যবসার ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসনগুলো উল্লেখ করা থেকে বিরত রইলাম)”””””””লেখক :মুহাম্মাদ আল মামুন কথাসাহিত্যিক, কবি গীতিকার ও ব্যাংকার