কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
সারা বিশ্ব এখন করোনাভাইরাস এর আতঙ্কে আতঙ্কিত। বাংলাদেশে ও এই ভাইরাসের প্রভাবে প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় প্রতিটি জেলার মানুষ। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশের বিভিন্ন জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে কর্মহীন হয়ে গৃহবন্দি হয়েছেন বিভিন্ন জেলার লোকজন। গোপালগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকেই কর্মহীন হয়ে গৃহবন্দী হয়ে দিন কাটাচ্ছে এ জেলার বাসিন্দারা।
জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার গৃহবন্দী কর্মহীন দরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে জেলা পরিষদের সদস্য ও কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগের নেতা দেবদুলাল বসু পল্টু। ইতিমধ্যে এই আওয়ামীলীগ নেতা দেবদুলাল বসু পল্টু বারোশত পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।
কোটালীপাড়া উপজেলার বারটি ইউনিয়নে বারোশত পরিবারের মধ্যে প্রথম ধাপে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রতিটি ইউনিয়নের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এসকল খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন দেবদুলাল বসুর কর্মীবাহিনী।
স্বেচ্ছাকর্মী হিসেবে বাড়িতে বাড়িতে এ সকল খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেবার জন্য সার্বক্ষণিক তদারকিতে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সুমন বোস, রতন, বিনয় জয়ধর, রামশীল ইউনিয়ন যুবলীগ, শিশির দাস, মাহবুব আলম জুম্মন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ। উজ্জ্বল সরকার, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ। সম্পদ বাড়ৈ, নিরব শেখ, তিতুমির কলেজ ছাত্রলীগ। লিমন হালদার, সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। অনুপ হালদার মনা, মানিক ঢালী, জয়ন্ত, রামশীল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। অমিত বসু, কুশলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। ব্যাংকার রিপন বাড়ৈ। শিক্ষক শুধাংসু গাঙ্গুলী, অনিকেত পান্ডে। ব্যবসায়ী বিপ্লব বসু, অসীত প্রমূখ।
এ ব্যাপারে দেবদুলাল বসু পল্টু সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ব্যক্তি উদ্যোগে আমি এর সকল খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। উপজেলায় অনেক অসহায় দরিদ্র মানুষ থাকা সত্ত্বেও হয়তো আমি সঠিকভাবে তাদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিতে পারিনি। আমরা আশা করি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে আমরা দ্রুত বের হয়ে আসবো। আর যদি দেশে জরুরি অবস্থা চলতে থাকে তাহলে আগামীতে আমি ব্যক্তি উদ্যোগে আরো খাদ্য সহায়তাসহ অন্যান্য সহায়তা সামগ্রী প্রদান করব।