বিশেষ প্রতিনিধিঃ ছাতক উপজেলায় খেলার মাঠ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত পাবেল (১৬) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার খুরমা দক্ষিন ইউনিয়নের খুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র ও ছোট মায়েরকোল গ্রামের ফারুক আলীর ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, ছাতক-দোয়ারাবাজার জোনের সার্কেল বিল্লাল আহমদ, ছাতক থানার অফিসার ইনর্চাজ মোস্তফা কামাল ও জাউয়াবাজার পুলিশ ফাঁড়ি ইনচাজ নির্মল দেব। গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক ৩ টার সময় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ছোট মায়েরকুল গ্রামের আব্দুল কদ্দুছ ও একই গ্রামের জসিম উদ্দিনের ্রমধ্যে গ্রামের খেলার মাঠ সংলগ্ন জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিষটি স্থানীয় ভাবে একাধিকবার নিষ্পত্তির চেষ্টাও করা হয় । গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে বিরোধকৃত জমিতে আব্দুল কুদ্দুছ মাপযোগ করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাঁধা প্রদান করেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন লাটিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় নারী-পুরুষসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৩৫জন আহত হন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত সাত জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও অন্যন্য আহতদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তী ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। বুধবার রাত ৩টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্ররুতর আহত পাবেল এর মৃত্যু হয়। দক্ষিন খুরমা ইউপি’র ৩ নং ওয়ার্ডেও সদস্য ইলিয়াছ বলেন, স্থানীয় মুরব্বিয়ান ও ইউপি চেয়ারম্যানের সমন্নয়ে একাধিকবার শালিস বসে। কিন্ত এক পক্ষের অনিহা থাকায় শালিস কার্যক্রম ব্যহত হয়। দক্ষিন খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দল মছব্বির বলেন, স্থানীয় মুরব্বিয়ানদের নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছি। ছাতক-দোয়ারাবাজার জোনের সার্কেল বিল্লাল আহমদ ঘটনা স্থল পরিদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন , কিশোর হত্যার সঙ্গে জড়িত অপরাধি যেই হোক না কেন সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে। সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের মোঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।