কবিতা –২২১।
জন্ম যার মুক্তির লক্ষ্যে,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
———————————–
জন্ম যার মুক্তির লক্ষ্যে শোষকেরা হুঁশিয়ার,
জরা-জীর্ণ,রোগ-শোক,
মনোবল এতটুকু ভাঙ্গতে পারেনি যার ,
অধিকার আদায়ে দৃঢ় সংকল্প –
“স্কুলের ছাদ মেরামত করতে হবে,
সমাধান দিয়েই নেতা তুমি পথ হাট তবে । ”
সামনে এগিয়ে যেতে হলে জ্ঞানার্জনের বিকল্প নাই,
শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাজনীতিতে যুক্ত তাই,
সাধারণ ছাত্র থেকে ছাত্র নেতা ,ছাত্র নেতা থেকে জাতীয় নেতা,
রাষ্ট্রভাষার দাবিতে রাজপথের উত্তাল মিছিলে ,
কারাবরণ আর প্রতিবাদে শোষিতের পাশে দিন-রাতে,
অধিকার আদায়ে মুক্তির লক্ষ্যে নিজের সুখ বিসর্জন তাই,
মন্ত্রী হয়েও ছেড়ে দিয়েছেন, দাবি শুধু -“বাঙ্গালীর অধিকার চাই”।
কারাগার যেন বসত তাঁর, মনোবল নাহি ভাঙ্গে যার,
মুক্তির প্রতীক লাল-সবুজের পতাকা গগনে উড়িয়েছে তাই,
মুক্তির সংগ্রামে বাঙ্গালী জাতি তাঁর নেতৃত্বে কাঁধে কাঁধ রাখে,
মানুষের ভালোবাসা,মানুষের প্রতিদান “বঙ্গবন্ধু”উপাদি অমূল্য দান,
মুক্তির পথে জয়ের মালা জনগনের রায়ে ক্ষমতা বদলের পালা,
শোষকের তালবাহানা আর বেইমানিতে উত্তাল বাংলার রাজপথ প্রতিবাদী মিছিলে,
শোষকের আঘাতে পিচঢালা পথ রক্তে রঞ্জিত- স্বাধীনতার বিকল্প নাহি’রে,
৭ই মার্চের ভাষণে তাই দিলেন তিনি স্বাধীনতার ডাক-
“এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম ,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। “”
তাঁহার ডাকে বাঙ্গালী জাতি স্বাধীনতার লড়াইয়ে দিল ঝাঁপ ,
দৃঢ়মনোবল আর সুদৃঢ় নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলা সেই গড়বে,
পরাধীন বাংলা স্বাধীন করে নিজের জীবন বাজি রেখে,
তোমাদের তরে স্বাধীন বাংলা বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠ দান তবে,
জন্ম যার মুক্তির লক্ষ্যে,লাল -সবুজের পতাকা আজ- “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান” এর কথাই বলে চলে,
ইতিহাসের পাতা পূর্ণতা পেয়েছে তুমি জন্মেছিলে তাই বলে।