রাজনীতিতে আমার চোখে দেখা দুজন রথী-মহারথী, বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে তারা বারবার আলোচনায় এসেছেন নিজের প্রজ্ঞা ও যোগ্যতার গুণের বিচারে !আঞ্চলিক রাজনীতিতে ছিল আপোষহীন প্রতিযোগিতা,কে কাকে ছাড়িয়ে যাবেন দক্ষতা ও যোগ্যতার বিচারে !
সিলেট বিভাগ ও নিজের রাজনৈতিক এলাকার ভারসাম্য বজায় রেখে রাজনৈতিক পরিবেশ শান্ত রাখতে ছিলেন দূরদর্শী এই দুই নেতা!দুজনের সামাজিক সম্পর্ক ছিল আন্তরিক শ্রদ্ধাশীল ও ভালোবাসা পূর্ণ,যা রাজনৈতিক বিষয় বিশ্লেষণ আলোচনার মাধ্যমে এক টেবিলে সমাধান করতেন!
এলাকা তথা সিলেট বিভাগের স্বার্থ অধিকার রক্ষায় সন্দ্বী আর গুনে এই দুই নেতা ছিলেন,আত্মমর্যাদাশীল !
আজ গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি তোমাদের, এশিয়া উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, প্রয়াত আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ, আর একজন বাবু সুরঞ্জিত সেনেগুপ্ত!
শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে, একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর সম্ভ্রম হারানো দু’লক্ষ মা-বোন,কে!
আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র লাল সবুজের পতাকা আমরা পেতাম না, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে! দুর্দিনে বঙ্গবন্ধুর শুভ সঙ্গী হয়েছিলেন বাঙালির স্বাধীকার রক্ষার এক মহা সংগ্রামে তারা হলেন আমাদের ভাটি বাংলার দুই যুগ পুরুষ,জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ,বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত!
জীবন দশায় বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে
জাতীয় সংসদের এমপি হিসাবে থেকেছেন আমৃত্যু!জীবন দশায় প্রতিটি সম্মেলনে জায়গা হতো কেন্দ্রীয় কমিটির ভালো স্থানে,যা ভাটির বিভাগ সিলেটের দলীয় কর্মীদের মুখ উজ্জ্বল করে হাসি আনন্দে ভরে উঠত!
দাঁত থাকতে দাঁতের মূল্য বোঝা যায় না, এ কথার অর্থ ও বাস্তব সত্য প্রমাণ আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন !
আব্দুস সামাদ আজাদ বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এই দুজন এশিয়া উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও নৌকার বিশ্বস্ত অতন্দ্র প্রহরী এবং রাজনৈতিক মেধা সম্পন্ন পুরুষ ছিলেন !
তারা সিলেটের আঞ্চলিক নেতা ছিলেন এটা আমার কাছে শুনতে যেমন বিষদাঁত ফোটার মত কষ্টের,সুতরাং তারা ছিলেন,অসাম্প্রদায়িক,প্রগতিশীল.গণতান্তিক রাজণীতির আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসের অন্যতম পুরোধা।
কারণ তাদের দেখেছি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সকল জাতি গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে, তাই তারা বাংলাদেশের জাতীর বীর সন্তান!
আমি তাদের দেখেছি বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তা শিক্ষা বাসস্থান চিকিৎসার অধিকার প্রতিষ্ঠিতায় জাতীয় সংসদে কথা বলতে !
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় রাজনীতিতে ব্যক্তিত্ব আর মেধা বুদ্ধির বিকাশ ঘটিয়েছিলেন তাঁরা নিজের মতো করে !
ইতিহাসের পাতায় পাতায় তোমাদের খুঁজে আজ, বাঙালির মাতৃভাষা রক্ষায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে যোগ দিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়েছিলেন যেভাবে!ঠিক সেভাবেই একদিন বাংলাদেশর অস্থিত্ব রক্ষার প্রশ্নে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলে জীবনের মায়া ত্যাগ করে!
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সংবিধান রচনা করে থেমে থাকেননি তিনি,বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা আর বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেগেছেন আজীবন বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত !
বাংলাদেশ ততা এশিয়া উপমহাদেশের কূটনীতিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী বলেছিলাম আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদের কথা!
আমি আব্দুস সামাদ আজাদ এর জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দেখেছিলাম আমার জীবনের শেষ দেখা টুকু !
আমার গ্রাম দুর্গাপুর স্কুলের মাঠে ছিল নেতার জীবনের শেষ মিটিং তখন আমি টাটকা যুবক ঘাড়ে ভর দিয়ে উঠেছিলেন মঞ্চে সে কথা আজও মনে পড়ে!
যে গ্রামে আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন হতো না, সবাই ছিল তার আত্মীয় এমন মানুষ সিলেটের ভাটি অঞ্চল সুনামগঞ্জের রাজনৈতিক উর্বর মাটিতে আর এমন মানুষের জন্ম হবে কি না জানিনা !
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যা কবলিত অঞ্চলের নাম সিলেট বিভাগ,আর এই অঞ্চলের মানুষের দুর্দিনে পাশে থেকে সাহস যোগাতে দেখতাম তোমাদের আজ আমরা অধিকার বঞ্চিত আশাহত!
আবার তোমাদের জন্ম হোক, বাটি বাংলার অসহায় মানুষের মাঝে হোক তোমাদের ঠিকানা!
এই চাওয়া মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে চাইবো জনম জনম ভরে,ওপারে ভালো থেকো আর গভীর শ্রদ্ধায় বেঁচে থেকে সকল বাঙালির হৃদয়ে!সংগ্রহ যুমনা বার্তা