বিশেষ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঢাকা চলচ্চিত্র অঙ্গনের ভিলেন ও বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের আগমনের খবরে তাকে সরাসরি এক নজর দেখতে হাজারো জনতার ঢল নামে। আর জনতার সেই ঢল সামলাতে হিমসিম খেতে হয়েছে তাহিরপুর থানা পুলিশকে।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা থেকে আরআর এভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টারে করে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামেন এই চিত্রজগতের ভিলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মনোয়ার হোসেন ডিপজল তাহিরপুর উপজেলার বড়দল (উ.) ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেমের আমন্ত্রণে তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার বারহাল গ্রামে আসেন। আগামীকাল সোমবার (২ মার্চ) তিনি তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটে ঘুরে দেখবেন।
তার আগমনকে নিরাপদ করতে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উৎসুক জনতাকে সামলাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালের ১৫ জুন ঢাকার মিরপুরের বাগবাড়িতে জন্ম নেয়া ডিপজলের চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিলো নায়ক হিসেবে। প্রথম ছবি ‘টাকার পাহাড়’। ‘হাবিলদার’-এও নায়ক ছিলেন। এরপর দীর্ঘ বিরতি। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘তেজী’র (১৯৯৮) মাধ্যমে ডিপজল ভিলেন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আলোচনায় আসেন। তখন ডিপজল মানেই ছবি হিট। টানা কয়েক বছর খলনায়ক হিসেবে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করার পর আবার ছেদ পড়ে।
‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ ছবির চার অভিনয়শিল্পী ২০০৪ সালে এফ আই মানিকের ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবি দিয়ে নতুনরূপে হাজির হন ডিপজল। উপহার দেন ‘দাদীমা’, ‘চাচ্চু’, ‘পিতার আসন’ প্রভৃতি ছবিগুলো। এ সময়ের ডিপজলের কাজগুলো চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ এ সময়েই গল্পের মূল চরিত্রে অভিনয় করে সুস্থধারা ও ব্যবসাসফল ছবিতে অবদান রাখতে সক্ষম হন ডিপজল।