শাবজল হোসাইন,তাহিরপুর:তাহিরপুরে দুধের আউটা কান্দাহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদের সংখ্যা ৫ টি,শিক্ষক সংকট ২ টি,বর্তমানে শিক্ষক আছে ১ টি।
দুধের আউটা কান্দাহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সংকটের কারণে নিয়মিত হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া লেখা,হচ্ছে না বিদ্যালয় খোলা এমন অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা।অনুসন্ধানে জানা যায়-ঐ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ সংখ্যা ৫ টি,শিক্ষক সংকট ২ এবং শিক্ষক আছেন ৩ জন।সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত দীর্ঘ ৫ মাস ধরে।উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়ে বেতন ভাতা বন্ধ করলেও অদৃশ্য ভাবেই উত্তোলন হচ্ছে সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন এর বেতন-ভাতা।একই অবস্থা সহকারী শিক্ষক মুকিত মিয়ার।তিনি বিদ্যালয়ে প্রায় সময় অনুপস্থিত থাকেন,মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়ে আসেন তাও ১২ টার পর আবার চলে যান দুপুর ২ টায়।ঐ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা নূর নাহার বেগম ঐ ২ সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করে বেতন উত্তোলন বন্ধ করে দিলেও আবার ঐ উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় অদৃশ্য ভাবেই উত্তোলন হচ্ছে তাঁদের বেতন ভাতা।এভাবে কি একটি বিদ্যালয় চলে।এক জন প্রধান শিক্ষিকার কাছে কি সম্ভব একা একটি বিদ্যালয়ের পড়াশুনা চালিয়ে নেওয়া। কে নিবে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার দায়িত্ব।
এবিষয়ে দুধের আউটা কান্দাহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বলেন-
আমার বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছে ৩ জন।আমি ও সহকারী শিক্ষক ২ জন।সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ৫ মাস ধরে।সহকারী শিক্ষক মুকিত মিয়া,তাঁর নেই কোন শিক্ষা যোগ্যতা তবুও তিনি শিক্ষক।নিয়মিত আসেন না বিদ্যালয়ে।মাঝে মধ্যে আসেন সাড়ে ১১ টা থেকে ১২ দিকে।তাঁরা বিদ্যালয়ে না এসেও বেতন ভাতা পাচ্ছেন নিয়মিতই।আমি উপর মহলে বারবার অভিযোগ দিয়েছি।বিদ্যালয়ে প্রয়োজনে কোন মিটিংয়ে গেলে বিদ্যালয়টি থাকে বন্ধ।মুকিতকে বদলি করে নতুন ৩ জন শিক্ষক আমার বিদ্যালয়ে দিলে বিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটা উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বিপ্লব চন্দ্র বলেন-সহকারী শিক্ষক আনোয়ার ও মুকিত এর বেতন ভাতা বন্ধ করে কি লাভ। কিছুদিন পর শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে তখন ৩ জন শিক্ষক ঐ বিদ্যালয়ে দিয়ে দেবো।তাহলেই তো সব সমস্যা সমাধান।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকিকুর রহমান বলেন-দুধের আউটা স্কুলের যে সমস্যা তা আমি জানি।কিন্তু কিছু করার নেই,আমরা আগামী ১ মাসের মধ্যে ৩ জন শিক্ষক ঐ বিদ্যালয়ে দিবো।আশা করি ৩ জন শিক্ষক দিলে সমস্যা দূর হবে।