তাহিরপুর প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢাকা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় মতিঝিল থেকে সদ্য বদলী হয়ে আসা প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মো. তৈয়বুর রহমান ১৩ই এপ্রিল রাজধানী ঢাকা থেকে ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে হাসপাতালে দায়িত্ব পালন ও অবাধে চলাফেরা করছেন। এই নিয়ে গত দুইদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রধান সহকারী তৈয়বুর রহমানের হোম কোয়ারেন্টাইনে না মানার পিছনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (টিএইচএফপিও) হাত রয়েছে বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করছেন।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে যারা বাড়ি কিংবা কর্মস্থলে ফিরছেন তাদেরকে কমপক্ষে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু সেই নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কিভাবে তৈয়বুর রহমান অবাধে চলাফেরা করছেন তা নিয়েও সমালোচনা করছেন উপজেলার সচেতন মানুষ।
রুখন উদ্দিন নামে একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, তাহিরপুর হাসপাতালের প্রধান সহকারী দীর্ঘদিন ছটি কাটিয়ে ঢাকা থেকে আবার তার কর্মস্থল তাহিরপুর হাসপাতালে এসে অবস্থান করছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যারা আছেন তারা দয়া করে ওনাকে কোয়ারেনন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের প্রধান সহকারী তৈয়বুর রহমান বলেন, তিনি পায়ে আঘাত পেয়ে ফেব্রুয়ারীর শেষের দিকে চিকিৎসার জন্য তার কর্মস্থল তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছুটি নিয়ে ঢাকায় যান। মার্চের ৩ তারিখ কুর্মিটোলায় চিকিৎসা নেন। সেখানে ডাক্তার তাকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন। তিনি মার্চের ৩ তারিখ থেকে এপ্রিলের ১২তারিখ পর্যন্ত ঢাকায় তার বাসায় সম্পূর্ণ বিশ্রামে থেকে গত দুইদিন আগে কর্মস্থল তাহিরপুরে ফিরেন। হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেননা কেন, এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, তিনি হোম কোয়ারেন্টাইন মেনেই চলাফেরা করছেন এবং কেথাও বের হচ্ছেন না।
তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সুত্র জানায়, তৈয়বুর রহমান হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চাইলেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএফপিও) ডা. মো. ইকবাল হোসেনের চাপে কাজে ফিরেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএফপিও) ডা. মো. ইকবাল হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিনি কর্মস্থলে আসার পর সিভিল সার্জনের সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি। তিনি বলেন, তিনি করোনা আক্রান্ত কিনা তা জানতে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।