নিউ টাইমর্স২৪ডেস্কঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুর সদর ইউনিয়নের পাইশানা গ্রামের কুদরত হাজীর ছেলে পুলিশ সদস্য বুলবুল আহাম্মেদ বাদলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে কলেজ ছাত্রী লিজা।
উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের সরিষাজানী গ্রামের লুৎফর রহমানের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে খাদিজা আক্তার লিজা। তিনি জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় প্রেমিক (পুলিশ সদস্য) মোবাইল ফোনে লিজাকে নিজ বাড়ি থেকে চলে আসতে বলে। ২ বছরের প্রেমের টানে ঘর ছাড়ে লিখা। সঙ্গে নগদ কিছু টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে বের হন। পরে পাইশানা গ্রামের কুদরত হাজীর ছেলে বুলবুল আহাম্মেদ বাদলের মোটরসাইকেলে চড়ে তাদের বাড়িতে যায়।
জানা যায়, গত ২ বছর আগে রং নম্বরের ফোন থেকেই গড়ে ওঠে তাদের প্রেম। প্রেমের শুরুতে বাদল নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দেয়। সম্পর্ক গভীর হলে লিজা জানতে পারে বাদল পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে থানার গাড়ি চালক পদে আছে।
এলাকাবাসী ও লিজা জানান, বুলবুল এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পোষ্টিং এ আছে। এসব কিছু মেনে নিয়ে সে বিয়ের আশ্বাসে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখে। এক পর্যায়ে বুলবুল লিজাকে টাঙ্গাইলে চাচার বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একটি আবাসিক হোটেলে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এভাবেই বেশ কয়েকবার লিজার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এর মধ্যে মেয়ের বেশ কয়েকটি বিয়ের প্রস্তাব আসলে তা প্রত্যাক্ষান করতেও বলে প্রেমিক।
সম্পর্কের একপর্যায়ে শনিবার সন্ধ্যায় প্রেমিকের সঙ্গে তার বাড়িতে যায়। পরে, বুলবুলের মা ও আরো এক ছেলে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাইলে এলাকাবাসী এসে রাতে লিজাকে ঐ বাড়ির বারান্দায় রাখে। সকালে গ্রামের মাতব্বরা এসে সমঝোতার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে প্রেমিকা লিজা বলেন, বুলবুল যদি আমাকে বিয়ে না করে, তবে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন পথ নেই। সকল প্ররতারনার পরও আমি তাকে ভালবাসি এবং তার সাথেই সংসার করতে চাই। আমি যদি বুলবুলের জন্য আত্মহত্যা করি তবে আমার মত মেয়েরা এটা থেকে শিক্ষা নেবে।
মোবাইল ফোনে পুলিশ সদস্য বুলবুল আহাম্মেদ বাদল এর সাথে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফোন করার পর তাকে ফোনে পাওয়া গেলেও তিনি খাদিজা আক্তার লিজা এর বিষেয়ে পরে কথা বলবেন বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত সর্বশেষ জানা যায়, মেয়ের অভিভাবকরা নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দেয়ার জন্য গিয়েছে।