প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভিডিও কনফারেন্সে যা চাইলেন ও বললেন এমপি মানিক
বিশেষ প্রতিনিধি :: প্রাণঘাতী সংক্রামক ব্যাধি করোনা মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাসমূহের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় এ মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সাথেও কথা বলেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক মোহম্মদ আব্দুল আহাদ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সুনামগঞ্জের চলমান উদ্যোগ গুলোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছার প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিকের কাছে মাইকটি হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় ভিডিও কনফারেন্স মাধ্যমে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সুনামগঞ্জ খাদ্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত। সুনামগঞ্জে আগামী সপ্তাহ থেকে বোরো ধান কাটা শুরু হবে, সে সময় বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষরা আসে কিন্তু এ করোনাভাইরাসের কারণে বাইরের জেলার মানুষরা আসবে না ধান কাটতে। তাই মাঠ থেকে ধান গোলায় তোলা কৃষকদের জন্য অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। তাই যদি কৃষি অধিদপ্তরকে বলে সুনামগঞ্জের জন্য ধান কাটার মেশিন বেশি করে সরবরাহ করা হয় তাহলে আমাদের যে প্রত্যাশা মাঠে যে পর্যাপ্ত ফলন হয়েছে সেটি আমরা ঘরে তুলতে পারবো।
তাছাড়া তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আপনার নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সকল জনপ্রতিনিধিরা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছেন। বিশেষ করে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমন মুজিব বর্ষ পালন করে দীর্ঘ ১মাস যাবত এলাকায় করোনা দূর্যোগে কাজ করে যাচ্ছেন বলে প্রধানমন্ত্রী কে জানান।আশা করি কিছুদিনের মধ্যে আমাদের সুদিন আসবে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে। যদিও ওএমএস কার্যক্রম ১ মাস ১০ দিনের জন্য সেখানে আরেকটু সময় বৃদ্ধি করে কর্মহীন মানুষ, রিকশা চালক, অসহায় মানুষের মধ্যে ধান কাটার পর্যন্ত রাখা যায় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জবাসীর উদ্যোশে বলেন, যেহেতু এখানে করোনা দেখা যায়নি এবং যেহেতু প্রবাসী সংখ্যা এখানে বেশি তাই সবাই সাবধানে থাকবেন আমাদের আরো অন্তত একমাস নিরাপদে থাকতে হবে। যারা ছোট খাটো ব্যবসা বাণিজ্য করতো তারা এখন কিছু করতে পারছে না তাদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে হবে।
যারা ভিজিএফ ভিজিডি বা বয়স্ক ভাতা বা বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা পাচ্ছে তারাতো পাচ্ছেই এর বাইরে যারা রয়েছেন তাদের সহযোগিতা করতে হবে। তাছাড়া একটি কমিটি করতে পারেন সেখানে যেনো খাবারগুলো সত্যিকার প্রয়োজনী মানুষরা পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ড. জয়াসেন গুপ্তা, সিলেট-সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত মহিলা আসনের মাননীয় সংসদ সদস্যা এ্যাড. শামীমা শাহরিয়ার, পুলিশ সুপার সুনামগঞ্জ মোঃ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লে. কর্ণেল মাহমু্দ হাসান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শামস উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত প্রমুখ।