বিশেষ প্রতিনিধিঃ দিরাইয়ে চাঞ্চল্যকর শিশু তুহিন হত্যা মামলার আড়াই মাসের মধ্যে আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ পালের আদালতে এ অভিযাগোপত্র দাখিল করে পুলিশ।
এঘটনায় শিশু বাবা,চাচা ও চাচাতো ভাই সহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকল গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রেস বিফ্রিংয়ে পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন নিহত শিশু তুহিনের স্বজন তার পিতা ও চাচারা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নির্মম ভাবে শিশুটিকে হত্যা করে তারা। জনমত পক্ষে নেয়ার জন্য নির্মমভাবে লাশের উপর আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত ছোট্ট শিশু তুহিনের লাশ। তুহিন হত্যার ঘটনায় তার মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন জড়িত সন্দেহে তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা নাসির উদ্দিন, চাচাতো ভাই শাহরিয়ারসহ ৫জনকে বাড়ি থেকে পুলিশ আটক করে থানায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এসময় তুহিনের চাচা নাসির, জুলহাস, আব্দুল মচ্ছবির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ায় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে নাসির ও শাহরিয়ার আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী দেয়। উল্লেখ্য গত ১৫ অক্টোবর রাতে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য ৫ বছরের শিশু তুহিনকে নির্মম ভাবে খুন তার স্বজনরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের মোল্লা সহ জেলা পুলিশের মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তাগণ এ মামলার তদন্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার-২ মোঃ মিজানুর রহমান মিজান পিপিএম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃহায়াতুন নবী, আবু তারেক, ডিআইও ওয়ান আনোয়ার হোসেন মৃধা। ডিবির ওসি কাজী মুক্তাদির হোসেন, জেলা পুলিশ,ডিবি, সিআইডির কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান দীর্ঘ আড়াই মাস নিবিড় ভাবে তদন্ত শেষে পুলিশ ৫ জনের বিরোদ্ধে অভিযোগ পত্র দিয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নির্মম ভাবে তুহিনকে হত্যা করেছে বাবা,চাচা ও ভাইয়েরা। জনমত পক্ষে নেয়ার জন্য নির্মম ভাবে হত্যা করেছে তারা।