স্টাফ রিপোর্টার: পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাওরে ৭২৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ফসল রক্ষা বাধঁ নির্মান ও সংস্কার করা হচ্ছে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ১৪টি পিআইসি’র কাজ হঠাৎ স্থগিত করায় বিপাকে পড়েছে পিআইসিসহ হাজারো কৃষক। জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ৭২৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৬৭৮টি প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হওয়ায় সুরমা ইউনিয়নে ১৪টি প্রকল্পের কাজ স্থগিত করেন পাউবো কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে অনেক প্রকল্পের প্রায় ৪০% শতাংশ কাজ শেষ করলেও বিল পায়নি একটিও। স্থানীয়দের দাবী এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ধোপাজান চলতি নদী দিয়ে আসা পাহাড়ী ঢলের পানি আশপাশের বসতবাড়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলী জমিসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা রক্ষা পাবে এবং ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাবে। এসব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হলে একদিকে যেমন কৃষকের ফসলের উপকার হবে অন্যদিকে মানুষের যাতায়াতের রাস্তাও হবে। এই রাস্তা তৈরী করতে সরকার অন্য কোন মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হতো। স্থানীয় হুরার কান্দা গ্রামের করিম জানান, বর্ষাকালে পাহাড়ী ঢলের পানিতে আমাদের বাড়ীঘর ও ফসলী জমি তলিয়ে যায়। এই বেড়ীবাধটি নির্মান করা হলে আমাদের ফসলসহ বাড়ীঘর রক্ষা পাবে। আমরা চাই এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হউক। পিআইসি সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শফিকুল হক জানান, কিছু স্বার্থবাদী লোকের বাধার কারণে আমাদের কাজটি বিঘিœত হচ্ছে। ধোপাজান চলতি নদীর দু’তীর সংরক্ষন করার জন্য সাবেক মন্ত্রী মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদ সাহেব পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সর্ম্পৃক্ত করেছিলেন। এখন যারা বিরোধীতা করছেন তারা বর্তমান সরকারের উন্নয়নে ইর্শ্বান্বিত হয়ে এসব কাজ করছেন। আমরা চাই জেলা প্রশাসক মহোদয় ১৪টি পিআইসি’র কার্যক্রম স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে উন্নয়নের সহযোগিতা করবেন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সহিদুর রহমান জানান, গতকাল পর্যন্ত জেলার ৭২৫টি পিআইসি’র মধ্যে ৬৭৮টি পিআইসি কার্যক্রম চালূ করেছে। সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নে স্থানীয়দের দুপক্ষের বিরোধের কারণে কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। বুধবার বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাধঁ নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।